দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকা দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের ঝনকি গ্রামের মুকসেদ মাঝির হামলায় লিপি আক্তার (৩০) ও তার মা নাসিমা আক্তার(৭৫) নামের দুই গৃহবধূ আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের ঝনকি গ্রামের লিপি আক্তার (৩০) নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার নিকট আত্মীয়রা।
চিকিৎসাধীন লিপি আক্তার (৩০) জানান, আমার ছোট ছেলের সাথে মুকসেদ মাঝির ছোট ছেলের সাথে হাতাহাতি হয়। পরে তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে আসি। আমি যখন নামাজ পরিতেছিলাম তখন মুকসেদ মাঝি এসে আমাকে নামাজে থেকে টেনে বের করে নিয়ে গিয়ে বাশ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। তখন আমার মা নাসিমা আক্তার বের হয়ে আমাকে মারতে দেখে মা ফিরাতে যায় তখন সে আমরা মাকেও মারে। পরে আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে পরে মুকসেদ পালিয়ে যায়। মুকসেদ পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার গলায় থাকা আধা ভরি স্বর্নের চেইন টান দিয়ে ছিরে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, মুকসেদ মাঝি মাদক সেবন করে। তার এ মাদকের বিষয় এলাকার সবাইসহ আশেপাশে সবাই জানে। আমি দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমাকে অনেক ফোন দেওয়া হচ্ছে মামলা না করার জন্য আমি এ বিষয় মামলা করবো।
এ বিষয় অভিযুক্ত মুকসেদ মাঝি বলেন, আমার চাচা তো বোনের ছেলের সাথে আমার ছেলের হাতাহাতি হয়। আমার চাচাতো বোন লিপি আক্তার খারাপ ভাষায় গালাগালি করে পরে আমি আমার ছোট চাচাতো বোনকে শাসনের জন্য মারি। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয় এ বিষয়ে আপনারা কেনো জড়াচ্ছেন। মাদকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অসৃকার করেন।
এ বিষয়ে এসআই আবদুল কদ্দুছ বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম তাদেরকে দেখে এসেছি। থানার মুকসেদ মাঝি ও তার স্ত্রীর নামে অভিযোগ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা আমরা নিব।
মুক্ত নিউজ/আই