নিকলী হাওর বাংলাদেশের ভ্রমন পিপাসুদের অন্যতম স্পট। চারদিকে পানি আর পানি। মাঝখানে সোজা মাইলের পর মাইল কালো কার্পেটিং রাস্তা। চোখ জুড়ানো মনোরম দৃশ্য যে কেউ বিমোহিত হবে। কাজ করতে করতে যখন আপনি হাঁপিয়ে উঠবেন তখনই নিজেকে চাঙ্গা করতে বেড়িয়ে আসতে পারেন নিকলী হাওর।

মিঠামইন,ইটনা ও অষ্টগ্রাম অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পর্যটকদের। এ যেন এক সাগরের বুক চিরে ছুটে চলা কালো পিচের রাস্তা। মন জুড়িয়ে যায়। যত সামনে যাবেন ততই সামনে যেতেই মন চাইবে। আমি গিয়েছি মটরসাইকেল যোগে। ঢাকা থেকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ যাবেন। এরপর ওখান থেকে বাসে চলে যাবেন ঘাটে। সেখান থেকে ইঞ্জিন চালিত বোটের মাধ্যমে মিঠামইনে।
মিঠামইন থেকেই মূলত হাওরের সৌন্দর্য্য শুরু হয়। যা অন্য কেউ বললে সে অনুধাবন করতে পারবে না। নিজের চোখে দেখতে হবে এই হাওর। আমার সাথে ছিল আমি যেখানে জব করি সেই কোম্পানির একজন মাকের্টিং অফিসার। তার নাম অনন্ত কুমার মিত্র। সে আমাকে পুরো হাওর মোটর সাইকেলে করে দেখিয়েছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদের গ্রামের বাড়িও দেখে এলাম। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করে রাষ্ট্রপতির বাড়ি দেখতে। আমরা দু’জন ছাড়াও হাজার হাজার দর্শনার্থী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে এই হাওর দেখতে। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসেছে।

বিশাল জলরাশির মধ্যে একটি একটি বিছিন্ন বাড়িগুলো দেখতে ছবির মত। নীল আকাশের নিচে জলরাশি নীল রঙ ধারণ করেছে। সত্যিই আমার মন চাচ্ছিল না ফিরে আসতে। আরো কিছুক্ষণ যদি থাকতে পারতাম। বিকালে চলে আসলাম নিকলী হাওর থেকে। চমৎকার নীল আকাশ। পানিও নীল আকার ধারণ করেছে। সবুজ গাছের সাথে মিশে কি অপরুপ দৃশ্য। সত্যিই আমি বিমোহিত। আবার ভ্রমনের প্রত্যাশা রাখি।