এই শীতে ভোর থেকেই কাদা পানিতে ধানের চারা রোপন করছে গোবিন্দ সরকার। ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য। শীত মৌসুমে ইরি চাষ শুরু হয়। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ধান কাটতে হয়।
নিজেদের প্রায় বিশ বিঘা জমি রয়েছে তাদের। অন্যের জমি চাষ করতে হয় না তাদের। পিতা নগেন্দ্র সরকারের বয়স হয়ে যাওয়ায় সে নিজেই হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে জমি চাষ করছেন। গোবিন্দ সরকার মুন্সিগঞ্জ জেলার খারশুরের বাসিন্দা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চক হচ্ছে আড়িয়াল বিল থেকে শুরু করে সভার পর্যন্ত এই বিস্তৃর্ণ ক্ষেত। গোবিন্দ সরকার মুক্ত নিউজকে জানান, বিঘা প্রতি ৭/৮ হাজার টাকা ক্ষেতে সার দিতে খরচ হয়। এছাড়া পানি সেঁচে খরচ রয়েছে। তিন মাস অবিরাম কাজ করে যেতে হয় কুষকদের।
এর পর যখন ফসল তোলা হয় তখন এর দাম ১০০০- ১১০০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৮ – ২০ মন ধান উৎপাদন হয় গোবিন্দ সরকারের জমিতে। এই ধান চাষ ও রবি শস্য চাষই তাদের আয়ের মূল উৎস। কিন্তু সার পানি ও শ্রমিকদের মজুরী দিতে দিতে খুব বেশি অর্থ তাদের হাতে থাকে না বলে জানান তিনি।
কৃষকদের সারে ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করলে কৃষক চিন্তা মুক্ত হয়ে চাষে মন দিতে পারতেন বলে মনে করেন কৃষিবিদরা।