পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাকির গাজী (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীরা ৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি। জাকির পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের মৃত. ফুল মিয়া গাজির ছেলে ও মঠবাড়িয়া ব্লাড ডোনেশন এর সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) তার ভাই সজিব গাজী বাদি হয়ে ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৮ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় এ মামলাটি করেন। আসামীরা হলো- পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ড (মহিলা কলেজ) এর বাসিন্দা মন্নান মৃধার ছেলে বেল্লাল (১৯), নবী হোসেনের ছেলে নয়ন (২০), সেন্টু মিয়ার ছেলে সাগর (২০), বাচ্চু মিয়ার ছেলে কাওসার নাঈম (২৩) ও উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের রত্তন আহম্মেদের ছেলে সোহেল রানা (৪০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাকির গাজীর মাংসের দোকানে তার ভাগিনা রাজু বসা কালিন সময় বেল্লালসহ বেশ কয়েক জন বাকিতে মাংস কিনতে যায়। এসময় রাজু বাকিতে মাংস না দিলে তাকে মারধার করে। বিষয়টি জাকির গাজী জানতে পেরে মামলা করবে কিনা এ মর্মে বনিক সমিতির সাথে আলোচনা করতে যায়। এ ঘটনা টের পেয়ে নয়ন ও সোহেল রানা এসে এবং কাওসার নাঈম মুঠোফোনে মামলা না করার জন্য জাকির গাজীকে অনুরোধ করে মিমাংসার প্রস্তাব দিয়ে হাসপাতালের সামনে যেতে বলে। জাকির গাজী দোকান বন্ধ করে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩‘শ ২৫ টাকা নিয়ে হাসড়াতালের সামনে পৌছলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক যখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় বলে সজিব গাজী জানান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী প্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।