পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ দুমকিতে ক্রয়কৃত জমি দখল নিয়ে বাবা-মেয়ের পাল্টা-পাল্টি মামলায় দ্বন্ধ এখন চরমে। মেয়ের দায়েরকৃত মামলায় জেল খাটতে হয়েছে বাবাকে। কবে হবে এ দ্বন্ধের নিরসন। আর পরিশেষে মীমাংসা হলেও আন্তরিকতার অবসান ঘটবে কি? উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চর গরবদী গ্রামে এমন চাঞ্চল্যকর জমি জবরদখল ও পাল্টা-পাল্টি মামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্রয়সূত্রে নুরুল ইসলাম হাওলাদার প্রথমে সম্পত্তির মালিক হন।
একই দাগে পরে ওই সম্পত্তিতে ক্রয়সূত্রে তার পুত্র লোকমান হোসেন দুলাল ও কন্যা রুমা বেগম গং ও জামাতা ফারুক হাওলাদারও মালিক হন। জমির ভোগদখল নিয়ে কন্যা রুমা বেগমের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় এওয়াজবদল দলিল সম্পাদন করে বিরোধ নিস্পত্তি হয়।
সম্প্রতি কন্যা রুমা বেগম,তার স্বামী ও সন্তানরা নুরুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে এসে বাড়িটি স্থায়ীভাবে দখল করে। এ নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে জবর-দখলের তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। মেয়ে বাড়ির দখল বহাল রাখতে পিতা ও ভাই দুলালসহ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গত বছর প্রথমে দুমকি থানায় ও পরে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় পিতা নুরুল ইসলাম জেল খেটে জামিনে এসে মেয়ে-জামাতার বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের পাল্টা মামলা দায়ের করেন। বাবা-মেয়ের পাল্টাপাল্টি মামলায় বিজ্ঞ আদালত স্থানীয় তহসিলদারকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ভোগদখলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
নুরুল ইসলামের অভিযোগ সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই লেবুখালী ভূমি অফিসের তহসিলদার মেয়ে রুমার পক্ষে বেশী জমি ভোগ দখলের রিপোর্ট দেয়। ওই রিপোর্টের আলোকে এসিল্যান্ডও অনুরূপ প্রতিবেদন দেন। রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে দাবী করে ন্যায় বিচারের স্বার্থে নুুরুল ইসলাম হাওলাদার জুডিশিয়াল ইনকোয়ারীর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে লেবুখালী ভুমি অফিসের তহসিলদার মো.সেলিম খান বলেন, আমরা সরেজমিনে যা পেয়েছি সেই অনুযায়ী রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। দুমকি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হোসনে আরা বলেন,এখানে আমাদের কোন স্বার্থ নেই,তদন্ত অনুযায়ী রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।