পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নির্যাতনের মামলায় মো.মাহাবুব আলম লিটন নামে এক স্কুল শিক্ষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পরদিন কারাগারে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাহাবুব আলম গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বি.এস.সি শিক্ষক। একই ঘটনায় ছেলে মাহাবুবের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মোসা.আকলিমা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। বাদীর পুত্রবধু মোসা.আকলিমা বেগম আউলিয়াপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো.জাহিদুল ইসলাম রকি বলেন, মামলার বাদী আবুল হাশেম হাওলাদার (৭০) পটুয়াখালী জেলা পরিষদে প্রকৌশল শাখায় উচ্চমান সহকারী হিসেবে চাকুরি করতেন। ২০০৭ সালে তিনি অবসরে গেলে নানা কৌশলে মেঝ ছেলে মাহাবুব ও পুত্রবধূ আকলিমা তার অবসর ভাতা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তীতে ভরণপোষণের বদলে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। পুত্রবধূর নির্যাতনে বৃদ্ধ শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন। ২০২১ সালে প্রথম দিকে ছেলে ও পুত্রবধূর অর্থ চাহিদা মেটাতে না পারায় মারধর করে ঘর থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। পরে আর ওই বাসায় উঠতে পারেনি তারা।
মামলায় বাদী আরও বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাদী আবুল হাশেমের বড় ছেলে মো.ফারুক হোসেন বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর নিতে শহরের বাসায় আসলে মেঝ ছেলে মাহাবুব আলম ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম অকারণে তার বড় ছেলে ফারুক হোসেনের উপর হামলা চালালে ওই হামলার শিকার হন তিনিও।
পরে ছেলে ও পুত্রবধূকে আসামী করে ৭ ফেব্রুয়ারী পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান ছেলে মাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ও পুত্রবধূ আকলিমার বিরুদ্ধে সমন জারি করে।