স্টাফ রিপোর্টারঃ ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ জনগণ উৎসাহের সাথে ভোট দিতে গিয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে এবার ভোট গ্রহন হয়েছে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার মোট ১৯ টি ইউনিয়ন পরিষদে। ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে অনেক ভোটার।
অনেক বৃদ্ধের আঙুলের ছাপের কারণে বার বার চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেনি। প্রিজাইটিং অফিসার এক্ষেত্রে ১% ভোট দিতে সহায়তা করার কথা থাকলেও তেমন কাউকে সহায়তা দিতে চেষ্টা করা হয়নি।
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অভিযোগ রয়েছে মেম্বার পদপ্রার্থীদের ভোট দিতে দিলেও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। নবাবগঞ্জ উপজেলার এক ইমাম বলেন, তাকে বলা হয় আপনি হুজুর মানুষ কিছু বুঝবেন না, আমরা ভোট দিয়ে দিয়েছি, আপনি চলে যান।
নবাবগঞ্জের আরেক কেন্দ্রে মহিলা বুথে ভোটারদের মেম্বার পদপ্রার্থীদের ভোট দেয়ার বাঁধা না দিলেও চেয়ারম্যান প্রতিকে ভোট দিতে নিষেধ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের বলা হয় মেম্বারেরটা আপনি দেন চেয়ারম্যানেরটা আমরা দিবো।
এতে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। মনের কষ্ট অনেকে চাপা দিয়েছেন অনেকে আবার বলেও দিয়েছেন। কিন্তু কে শুনবে কার কথা। যেখানে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের অনেক প্রার্থীকে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তাই অনেকটা একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের সবকটি নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। কোন বিদ্রোহী প্রার্থীও পাশ করতে পারেনি। তবে ইউপি সদস্য অর্থাৎ মেম্বারদের ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।