পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপি সদস্য আমিনুল ইসলাম খোকন ও তার ভাই কথিত সাংবাদিক আলামিন প্রিন্স এর বিরুদ্ধে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দুই বোনকে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তৎকালীন মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ পিন্টু শিকদার একাধিকবার সালিশ মীমাংসা করে। ভুক্তভোগী ওই দুই বোন একাধিকবার সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে জমি পেলেও সরেজমিনে গেলে দুই ভাই জমিতে আসলে তাদেরকে প্রাণ নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না বলে হুমকি দিতে থাকে ।
জানা যায়, তাদের পিতা খবির উদ্দিন ২০১৫ সালের ৫ মে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তারা চার ভাই বোন আমিনুল ইসলাম খোকন, আলামিন প্রিন্স, জান্নাতুল ফেরদৌসী মনি, ফারজানা ইসরাত সিলভী ওয়ারিশ সূত্রে সমুদয় জায়গার মালিক হন। কিন্তু বিপত্তি বাধে পূর্ব সুবিদখালী মৌজার১৭৮/১ খতিয়ানের ৫০ দাগের অংশ নিয়ে। সেখানে তাদের পিতার রেখে যাওয়া দোতলা বিল্ডিং ও দোকান ঘর রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমিনুল ইসলাম খোকন ও আল-আমিন প্রিন্স তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা ফেরত চাইলে তারা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এবং আমাদের পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আমাদের কোনো দাবি নেই মর্মে জোরপূর্বক নাদাবী মূলক রেজিস্ট্রি করিয়া দিতে বলে। আমরা এতে রাজি না হলে তারা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেয় ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একাধিকবার সালিশ মীমাংসা করলেও সরোজমিনে আমরা জমির ভাগ নিতে গেলে তাহারা আমাদেরকে এই জমিতে আসতে নিষেধ করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তারা আরো বলেন, বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে সুবিদখালী বাজারের আমাদের নিজ সম্পত্তিতে মিস্ত্রি দিয়ে টিনশেড ঘরের কাজ করাতে গেলে কথিত সাংবাদিক আলামিন প্রিন্স তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আমাদের কাজে বাধা দেয়। ভাড়াটিয়া লোকেরা আমাদেরকে অশ্লীল আচরণ করে। আমার বাবা মৃত্যুর আগে ভাগ বন্টন করে দিয়ে যান যার প্রমাণ রয়েছে। সেখানে তিনি আমাদের দুই বোনকে পূর্ব পাশের দোকান থেকে শুরু করে পশ্চিম পাশে ৪৭ ফুট পর্যন্ত ভোগ দখল করবে মর্মে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়াও স্থানীয় সালিশদার গণের উপস্থিতিতে ভাগ বন্টন করে দেওয়া হয় সেই ভাগ বন্টন করা জমিতে আমরা কাজ করতে গেলেই তারা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম খোকনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরেক অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক আলামিন প্রিন্সকে কল করা হলে তিনি একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।