পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মোঃ মাছুম বিল্লাহ (১৭) নামে এক কলেজছাত্রকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন এর পিপড়াখালি গ্রামের রনি, খায়রুল আকন, আল-আমিন আকন এবং পায়রাগঞ্জ এলাকার সাগর মৃধা, সৈকত মৃধা ও তাদের একাধিক সহযোগীর বিরুদ্ধে।
সোমবার উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পিপড়াখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মাসুম বিল্লার মা থানায় অভিযোগ করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার ঘটনার একদিন পরে টাকা-পয়সার লেনদেন করে ঘটনার মীমাংসা করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্র উপজেলার কপালভেড়া গ্রামের সালাম হাওলাদারের পুত্র ও সুবিদখালী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ভুক্তভোগী মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, সে গত সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার সুবিদখালী সরকারি কলেজ মাঠে খেলা দেখতে আসার সময় কলেজরোড ব্রীজের পূর্ব পাশের ঢালে গেলে অভিযুক্ত রনির নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে তার পথরোধ করে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে পিঁপড়াখালি পায়রা নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা ভিকটিমকে হ৩ ঘন্টা আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। এবং হাতে মাদকদ্রব্য দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে অভিযুক্তরা রাত ৮ টায় ভিকটিমকে আহত অবস্থায় কলেজরোড ব্রিজের উপর ফেলে রেখে চলে যায়।খবর পেয়ে আহতর পরিবার উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির মা সোমবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার একদিন পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন উভয়পক্ষকে ডেকে ঘটনার সমাধানের জন্য বসলে একপর্যায়ে অভিযুক্ত রনিকে জরিমানা করা হয় এবং নির্যাতনের শিকার মাসুমকে চিকিৎসা খরচ দিবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয় ভুক্তভোগী ওই পরিবারের।
ঘটনার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রনি বলেন, স্থানীয়ভাবে ঘটনার মীমাংসা করা হয়েছে। সবার খরচের সাথে সাংবাদিকদের খরচ দেওয়া হয়েছে বলে মুঠোফোন কেটে দেয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার বলেন, বিষয়টা মীমাংসা হয়ে গেছে এবং কয়েকজন সাংবাদিক এসে টাকা নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।