পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে বৌভাত অনুষ্ঠানে বিচ্ছেদের পর বারবার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছিল বৃষ্টি রানী (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীর। বারবার বিয়ে ভাঙার বিষণ্ণতায় ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বসত ঘরের দোতলায় আড়ার সঙ্গে রশি বেঁধে ফাঁস দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত সাড়ে ৯টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। বৃষ্টি রানী উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ হাওলাদারের কন্যা।
তিনি সরকারি জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একবছর পূর্বে পারিবারিক সমঝোতায় বৃষ্টির বিয়ে হয় এবং বৌভাত অনুষ্ঠানে মনোমালিন্যের ঘটনায় তার বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদ পরবর্তীতে বৃষ্টির পরিবার তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিয়েবিচ্ছেদের কারণে বারবার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছিল।
এতে বৃষ্টি মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগছিল। সম্প্রতি বৃষ্টির অপছন্দে অধিক বয়সের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করলে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।