সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের বাবা-মাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছেলের বাবাসহ সহযোগীরা। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মা। ভুক্তভোগীরা হলেন, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মঞ্জুর আহমেদ ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার।
মামলার আসামিরা হলেন- একই এলাকার মৃত আমানুল্লাহ মাদবরের ছেলে কালাম মাদবর (৫৫), মৃত বাঘা হাসানের ছেলে মো. আসাদুল (৪০), মো. মুকুল (৪৫), মৃত লাল মিয়া মৃধার ছেলে মো. আবুল বাসার (৪৮), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. শাওন (২৫), মো. রাসেলসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে ভুক্তভোগী শিউলি বেগমের নাবালিকা মেয়ের (১৪) সাথে আসামি কালাম মাদবর তার ছেলে বুলবুল মাদবরের বিয়ের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেড় বছর ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ রাতে ভুক্তভোগী শিউলির স্বামি মঞ্জুর আহমেদকে একা পেয়ে পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার একটি মার্কেটের গলিতে ৪ নং আসামি আবুল বাশার ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা আসামিরা তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এসময় জিআই পাইপ, লোহার রড, সাইকেলের চেইন ও ছ্যান দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তখন শিউলি বেগম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার স্বামীকে রক্ষা করতে চাইলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে শিউলির মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে গতকাল আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিউলি আকতার।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলমান রয়েছে।