স্টাফ রিপোর্টরঃ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮ মার্চ প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে, নারী সমানাধিকারের জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় এই নারী দিবস চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ১৯০৯ সালে ২৮ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়। পরে রাশিয়াতেও ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হতে থাকে একই কারণে। তবে রাশিয়াতেই দিনটি পালিত হয় ৮ মার্চ। তার পর থেকে সেটিই হয়ে আসছে। উপজেলায় সকাল ১০ টা হতে বাংলাদেশ পুলিশ নবাবগঞ্জ থানা কর্তৃক আয়জিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হতে “টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ আগ্রগণ্য”এই স্লগান নিয়ে কেন্দ্রীয় শাহিদ মিনার পর্যন্ত র্যালি করা হয়। পরর্বতিতে উপজেলা পরিষদ এর আব্দুল ওয়াছেক মিলনায়তন হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান আয়জিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো অংশগ্রহণ করেন নবাবগঞ্জ উপজেলার পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) জনাব ইয়াসমিন আক্তার ।
সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার,জনাব এইচ. এম. সালাউদ্দীন মনজু আমন্ত্রিত অতিথিরা নারীদের নিয়ে উৎসাহমূলক কথা বলেন এবং উপজেলায় নারীদের ড্রাইভিং ট্রেনিং চালু করানো হবে অতি শীঘ্রই বলে জানান উপজেলা (মহিলা) বিষয়য়ক কমকতা সাদিয়া আফরিন বলেন, ” নারী আজ আর অবরোধবাসিনী নয়। সকল শৃঙ্খল, বন্ধন ছিন্ন করে আজ সে অবারিত আকাশের নিচে খুঁজে পেয়েছে আপন পরিচয়।
তাই নারীকে আর নারী হিসেবে বিচার না করে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে।” পরবর্তিতে নারীদের সফল্য নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের স্বর্নপদক প্রাপ্ত নারী মায়া রানী বাউল ও মাধূরী বনিক তাদের জীবন কাহিনী তুলে ধরেন । শিল্প-সাহিত্য-সহ সব ধরনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত করা হয়।
পরিবারে, সমাজে বা রাষ্ট্রে নারীকে চতুর্দিক সামলে কাজ করতে হয়। নারী আজ নিজ যোগ্যতায় পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ নির্মাণের কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছে। ঘরে- বাইরে সমান তালে সব দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছে বলে জানায় এক সাহসি নারী।
প্রতি বছরের মতো এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একটি থিম রয়েছে। এবারের থিম “টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ আগ্রগণ্য” এই মুহূর্তে পরিবেশ সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। সেই পরিবেশ আন্দোলন এবং সচেতনতার কাজে মহিলাদের ভূমিকাকেই সম্মান জানানো হচ্ছে এই বছর। পরে উপজেলা পরিষদ এর আব্দুল ওয়াছেক মিলনায়তন হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।