দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়নি এখনো, কবে হবে তারও কোন সম্ভাবনা তারিখ জানা নাই কারো। এমন অবস্থায় প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কোন প্রার্থী। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দোহার পৌরসভায় চলছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলার গ্রামের মেঠোপথের আনাচে-কানাচে চায়ের দোকানে সরব নির্বাচনী হাওয়া।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়নি এখনো, কবে হবে তারও কোন সম্ভাবনা তারিখ জানা নাই কারো। এমন অবস্থায় প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কোন প্রার্থী। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দোহার পৌরসভায় চলছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলার গ্রামের মেঠোপথের আনাচে-কানাচে চায়ের দোকানে সরব নির্বাচনী হাওয়া। চলছে প্রার্থীদের উঠান বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারণা।
বিএনপির প্রার্থীদের নাম না শোনা গেলেও পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকর্মীর নাম শোনা যাচ্ছে। কে হবেন পৌর মেয়র, কেই বা হবেন কাউন্সিলর বা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের আসনে নেতৃত্ব দেয়ার ভরসার জায়গায়। এমন দোলাচলে দোহার উপজেলার বিলাসপুর, মাহমুদপুর, নয়াবাড়ি, নারিশা, কুসুমহাটি, রাইপাড়া, মুকসুদপুর, সুতারপাড়া ইউনিয়ন ও দোহার পৌরসভা এলাকায় চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা তাদের রঙিন ফ্যাস্টু ব্যানার দিয়ে পথেঘাটে চালাচ্ছে তাদের প্রচার প্রচারনা। কে পাবেন নৌকার দলীয় টিকিট বা কেই বা পাবেন সিনিয়র নেতাদের আশীর্বাদ- সেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে মাসখানেক ধরে।
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দোহার ইউনিয়ন নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে না হলেও নতুন বছরের শুরুতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় প্রচারণায় পিছিয়ে থাকতে নারাজ প্রার্থীরা। তাই তো নির্বাচনে প্রাথীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। দোহার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব, মোঃ আলমাস উদ্দিন বলেন, ২২ বছর যাবত জনগণের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কোন দূর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই ও একটা আধুনিক পৌরসভা গঠন করতে চাই। এবার তিনি মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষনা করেছেন।
তেমনি এক উঠান বৈঠককে মাহমুদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক নুরুজ্জামান মোড়ল বলেন, ‘আমি আপনাদের গ্রামেরই সন্তান, আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই এবং আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আরেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী একলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই রাইপাড়া ইউনিয়ন আমার মা। আমি এই মায়েরই সন্তান। আমি সন্তান হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে রাইপাড়াকে আরে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলবো।
অন্য দিকে দোহার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে দিধাদন্দ থাকলেও পৌর মেয়র প্রার্থীরাও প্রচার প্রচারনা ও উঠান বৈঠকে পিছিয়ে নেই, তেমনি মেয়র প্রার্থী জামাল উদ্দিন আহমেদ তার একটি উঠান বৈঠকে বলেন, আগামী পৌর নির্বাচনে আমি আওমীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি দলীয় মনোনয়ন পাই, তাহলে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবো। নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভায় শিক্ষা বিস্তার, মাদক মুক্ত, শতভাগ স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানির সু-ব্যবস্থা ও সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা’সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণের মাধ্যমে দোহার পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় উন্নীত করবো ইনশাল্লাহ।
নির্বাচনের বিষয়ে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সালমান এফ রহমান বলেন, আমি আমার আসনের ইউনিয়ন নির্বাচনের পরিসংখ্যান করিয়েছি। তার মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন স্তরে আছে নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়ন আর সেখানে নৌকার অবস্থান চার নম্বরে। আমি এই পরিসংখ্যান টি করিয়েছি নির্বাচনেকে কত জনপ্রিয় সে জন্য। আমি তাদেরকে বলতে চাই যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের কাছে যেমন জনপ্রিয় তাদেরকেও তেমন তার স্থানে জন প্রিয় হতে হবে।