দোহার(ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহারে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে দোহার উপজেলা প্রঙ্গণের বঙ্গবন্ধু মোড়ালে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর দোহার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেলা ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালী ভাষণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান এমপি । সে সময় তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
আমি সংসদে দাবি জানিয়ে ছিলাম জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার জন্য। সেটি আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছে। আর এটি দলীয় স্লোগান না এটা বাংলাদেশ জাতীয় স্লোগান। অনেকেই আগে এটা দলীয় স্লোগান বলতেন এখন আর সােটা বালার সুযোগ নাই। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি আমাদের দলিল।
মুক্তি যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন অনেকই তার মধ্যে রজব মোল্লা বলেছে, আমাদের দোহারে মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য প্রতেক ইউনিয়নে তাদের নামে রাসেল করা হক এটা আমাদের অধিকার। বিষয় অতিথির বক্তব্য দোহার উপজেলায় চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ,কৃষকলীগের লোক জন ১৫ আগষ্ট তোবারক রান্না করতাম তখন বিএনপি লোকেরা গিয়ে সেই খাবার ফেলে দিত।
আমারা বঙ্গবন্ধু ভাষণ শুনতে পারতাম না। তখন আমাদের নেতা কর্মীরা নৌকা করে নদী পথে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ভাবধারায় সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এখনই সময়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ৭ মার্চের ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় ও অঙ্গিকার।