বিশেষ প্রতিবেদকঃ ঢাকা দক্ষিণের একমাত্র মোঘল আমলের মসজিদ নবাবগঞ্জে অবস্থিত। আনুমানিক পাঁচশত বছর পুরোনো এই মসজিদটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে স্ব-মহিমায়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা নিয়ে গঠিত একটি প্রাচীন জনপদ।
অনেক ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে এই জনপদের। শাহজাহানের যুগে মুঘল স্থাপত্য এর স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। তিনি অনেক স্মৃতিসৌধ, মাসজিদ, দুর্গ নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে আগ্রার তাজমহল, মোতি মসজিদ, লালকেল্লা, দিল্লি জামে মসজিদ। আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়।
মোঘল সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মত নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিকারীপাড়া ইউনয়নের বক্তারনগর গ্রামে গড়ে উঠে এক অনন্য সুন্দর একটি মসজিদ। বর্তমানে যা সাহেব বাড়ি মসজিদ বা জমিদার বাড়ি মসজিদ নামে পরিচিত।
ইছামতি নদীর কূল ঘেষে স্থাপিত এই মসজিদ মোঘল সাম্রাজ্যের এক অন্যতম মুসলিম স্থাপনা।
আপনি এই মসজিদে নামাজ আদায়ে পাবেন এক অন্য রকম অনুভূতি যা আপনার মনে এনে দেবে প্রশান্তি। মসজিদের মূল দরজার ঠিক উপরেই রয়েছে একটি উর্দু লেখা সংবলিত কালো স্বেত পাথরের ফলক। যা এর প্রাচীনত্ব প্রমান করে।
যে কেউ ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে করে বান্দুরা ও পরবর্তীতে মাত্র বিশ টাকা অটোরিক্সা ভাড়া দিয়ে সহজেই আসতে পারেন এই মসজিদটি দর্শনের জন্য। ছোট ছোট কয়েকটি গম্বুজসহ বড় তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদে দর্শনে আপনি আরো দেখতে পাবেন অতীতে কিভাবে ইমাম সাহেব আযান দিতেন সিঁড়িতে উঠে সে স্থাপত্য।
পাশেই আরো দেখতে পাবেন ধ্বংস হতে যাওয়া জরাজীর্ণ পরে থাকা
জমিদার বাড়ি। যা অবহেলায় পরে আছে শত বছর ধরে। স্থাপনাটি দেখার কেই নেই।
প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের কেউ দেখতে এসেছে বলেও কারো মনে পড়ে না। অথচ এই জায়গাটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান । যা ভ্রমন পিপাসুদের কাছে টানবে। বাংলাদেশ পাবে আরো একটি পর্যটন এলাকা এই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।