বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে ৫ টি ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন শেষ হয় গত ১৫ জুন। নির্বাচনের পর থেকেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইভিএমে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেন। এ ঘটনায় পূর্ণ ভোট গণনার দাবিতে মানববন্ধন করেন উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাধারণ তিন ও সংরক্ষিত এক পরাজিত প্রার্থী।
বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ঐ ইউনিয়নের গেন্ডামারা এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন করেন। তাদের দাবি প্রতীকসহ পূর্ণ গণনার দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আপেল প্রতীকের প্রার্থী রফিক কাজীকে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এই ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও সাবেক ইউপি সদস্য ছত্তার কবিরাজের সাথে জয়-পরাজয় হওয়ার কথা ছিলো। এছাড়াও ফুট বল প্রতীকের প্রার্থী ছবুর খলিফা তিন নম্বরে থাকার কথা। এই তিন জনের কেউ বিজয় হতে পারে নি। কিন্তু রফিক কাজী নির্বাচনের মাঠেই ছিলো না। প্রচার প্রচারণা তো দূরের কথা। সেই রফিক কাজীকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ইভিএমে ভোট কারচুপি করে জয়ী ঘোষনা করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিতি ছিলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য ছত্তার কবিরাজ,ছবুর খলিফা ও ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সালমা আক্তারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বর্তমান ইউপি সদস্য ও প্রার্থী জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, আমি ও ছত্তার কবিরাজ এই দুই জনের ভিতরে একজন নির্বাচিত হইতাম। কিন্ত কালো টাকার বিনিময়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রফিক কাজীকে ইভিএমের ভোট কারচুপি করে জয়ী ঘোষনা করেছেন। আমরা কালো টাকার কাছে হেড়ে গেলাম।
সাবেক ইউপি সদস্য ছত্তার কবিরাজ বলেন, এই ওয়ার্ডে আমার রিজার্ভ ভোট ছিলো প্রায় ৫ শতধিকের উপরে। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাহেব তিন লাখ টাকার বিনিময়ে যার কোনো প্রচার প্রচারণায় নামই ছিলো না তাকে জয়ী করেন। ভোট গগনার শেষে কেন্দ্রে বসে আমার এজেন্টরা রেজাল্ট সিট চেয়েছে কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। আমি মোরক প্রতীকের ভোট পূর্ণ গগনার দাবি করছি।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও তালতলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, এবিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।ভোট গগনার শেষে কেন্দ্রে বসে আমার এজেন্টরা রেজাল্ট সিট চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব এজেন্টরা রেজাল্ট সিট চেয়েছেন তাদের কে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মস্তফা কামাল বলেন, টাকার বিনিময়ে ইভিএমে ভোট কারচুপি হয়নি। পরাজিত প্রার্থীদের এমন অভিযোগ ভিক্তিহীন। যেহেতু টাকার বিষয়ে আসছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন ভোট পূর্ণ গণনার জন্য নির্বাচণী আদালতে মামলা করতে পারেন।