মুক্ত নিউজ ডেস্কঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারাদেশে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ আজ থেকে কার্যকর হবে। তবে এসব দোকান, বিপণিবিতান ক্রেতা থাকলে আধাঘণ্টা পর্যন্ত ক্রেতাদের কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া যাবে।
এদিকে, রাত ৮টার পর যেসব দোকান বা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নিম্নলিখিত দোকান বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে।
১. ডাক, জেটি, বিমানবন্দর, পরিবহন সার্ভিস, টার্মিনাল ও অফিস।
২. তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি ও ফুল বিক্রির দোকান।
৩. ওষুধ, অপারেশন সামগ্রী, সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান।
৪. দাফন ও অন্ত্যষ্টেক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান।
৫. তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান ও দোকানের বসে খাওয়ার জন্য যেসব দোকান।
৬. পেট্রোল পাম্প ও কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ি সার্ভিসিংয়ের দোকান এবং সেলুন।
৭. পয়নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
৮. ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরা ও সিনেমা হল।
এর আগে, ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে রাত আটটার পর সারা দেশে দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মুক্ত নিউজ/ইয়াসিন