দোহার প্রতিনিধিঃ ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ছোট আসাদ বাওয়ালী। বয়সও বেশি না, মাত্র ৯ বছর বয়সে পা দিয়ে সব গুলো রোজা রাখছে। স্থানীয় একটি স্কুলে লেখাপড়া করেন। ছোট্ট আসাদ কাঠালীঘাটা মাসুম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র। স্কুলে পড়াশোনায় ও মেধাবী। সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ হাফিজুর রহমান বাওয়ালীর ছেলে। ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায়,বান্দুরা ইউনিয়ন, কাঠালীঘাটা গ্রামে আসাদের বাসা। এই বৈশাখ মাস এর প্রচন্ড গরমে বড়দের কে হার মানিয়ে সব গুলো রোজা রাখছে ছোট্ট আসাদ। বৃহস্পতিবার আসাদের ২৬ টি রোজা হয়ে গেছে।
আসাদের মা বলেন, আমার ছেলে গত ৩ বছর ধরে রোজা রাখছে। প্রথম বছরেই ২৬ টি রোজা পালন করেছে। পরের বছর ৫ টি রোজা রেখে, এবার সব গুলো রোজা রাখবে। আমি প্রতিদিন আসাদকে সাহরীর সময় ডাক দিয়ে উঠিয়ে, রোজা রাখতে বলি এবং উৎসাহ দেই। আর ফজরের সময় মসজিদে পাঠাই। নামাজ ও পড়ে আসাদ।
ছোট্ট আসাদ বলেন, আমি রোজা রাখি। আমার রোজা রাখতে একটু কস্ট হলেও আমি এবার সব গুলো রোজা রাখবো। আমার পরিবারের সবাই আমাকে রোজা রাখতে উৎসাহ দেন। আমার ভালো লাগে রোজা রাখতে। আমি নামাজ পড়তে যাই, আমাদের বাড়ির লগেই মসজিদ।
আসাদদের বাসায় গিয়ে খোজ নিলে, আসাদদের বাসায় বেড়াতে আসা আসাদের ফুফু বলেন, আমি অবাক হয়ে যাই, এই প্রচন্ড রোদ ও গরমে আমার ভাতিজা কিভাবে সব গুলো রোজা রাখছে।আমাদের বড়দের এই গরমে রোজা রাখতে হিমশিম খাচ্ছি। আমার গর্ব হয় আসাদ কে নিয়ে। ইসলামি নিয়ম পালনের দিকে ধাবিত হওয়ায়। আর আমি মনে করি আমাদের আসাদের মতো ছোট থেকে সিয়াম পালনে প্রতিটি পরিবার, তাদের ছেলে- মেয়েদের ছোট থাকতে অভ্যাস করালে বড় হয়ে তাদের আর কস্ট হবে না আল্লাহর দেওয়া বিধান পালন করতে।