বাংলাদেশে শীতকাল মানেই পিঠা। গ্রাম মানেই পিঠার আমেজ। সেই গ্রামেই এখন আর আগের দিনের মত পিঠা বানানো হয় না। এখন আর গ্রামেও ঢেঁকি নেই। ভাপা, পুলি, দুধ চিতই,পাটিসাপটা ইত্যাদি পিঠা শীত কালে বেশি তৈরি হতো শীতকালে। খেজুর রসের পিঠা ছিল মানুষের আকর্ষনের শীর্ষে। পিঠা বানানো প্রায় ভুলেই যাচ্ছে গ্রামের মহিলারাও। শীত আসলে যেখানে পিঠা তৈরির ধুম পরে যেত। বাড়িতে দাওয়াত দেয়া হত আত্মীয়দের। এটা ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। দিন দিন মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলছে। আয়েশী জীবন ও সোসাল মিডিয়ায় ব্যস্ততা এখন গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র। যার কারণে মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে অনেক। বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সবাই। ফলে গ্রামীণ জনপদের ঐতিহ্য এখন বলা যায় শেষের দিকে। শহরে শীত আসলে মোড়ে মোড়ে চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি করে কিছু গ্রাম থেকে আসা গরিব মানুষ যা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। যারা গ্রামের পিঠা খাওয়ার সুযোগ পান না বা গ্রামে যাওয়া হয় না তারা অনেকটা শখের বসে ফুটপাতের এই পিঠা খেয়ে থাকে। অনেকে ক্ষুধা লাগলে হালকা নাস্তার কাজ সেরে ফেলে এই পিঠা দিয়ে। শহরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেটা শুধু মনে করিয়ে দেয় আমাদের দেশে কিছু পিঠা তৈরি হতো। কয়জনই বা খেতে পারে শীতকালীন পিঠা। এরপরও বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে এখনো কিছু পিঠার প্রচলন রয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট থাকুক গ্রামের মানুষের পিঠা খাওয়ার দাওয়াত চালু হোক গ্রামীণ জনপদের।