নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ রাজধানী ঢাকার অদূরে মাত্র ৩২-৩৫ কিলোমিটারের পথ নবাবগঞ্জ উপজেলা। এত নিকটে হওয়ার পরও স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। আপনি যখন দেখবেন মায়েরা তার শিশুকে কোলে করে নদী পাড় হচ্ছে বাঁশের সাঁকোতে তখন আপনার গা শিউরে উঠবে।
এত ঝুঁকি নিয়ে কেন তারা নদী পাড় হচ্ছে? কারণ একটাই বিকল্প পথ নেই। হয় ভাঙা সাঁকোতে বা ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় পাড় হতে হয়। দুটোই তাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির পথ। অনেক সময় সকালে নৌকার মাঝি না থাকায় বাধ্য হয়েই সাঁকো পাড় হতে হয়। তদুপরি নদীর পাড় এত বেশি উচু এবং খাড়া যে উঠতে ও নামতে একজন সুস্থ মানুষেরই কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে অনেক পা পিছলে পড়ে যায়। হালকা বৃষ্টি হলেই তা আরো পিচ্ছিল হয়ে মারাত্মক ঝুঁকির আকার ধারণ করে।
সরেজমিনে কথা হয় কিছু লোকের সাথে। এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে বলেন এগুলো লিখে বা বলে আর কি করবেন? জীবনের বেশির ভাগ সময়তো পার করে দিলাম তবুও একটা ব্রিজের কোন আলামত এ পর্যন্ত দেখতে পেলাম না। মোস্তাক আহমেদ নামের একজন বলেন, আমরা কয়েক বছর যাবত স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলছি। ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কোন ভাবেই কাজ হচ্ছে না। তবে আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি না। বর্ষা মওসুমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয় নদীর এই দুই পাড়। কবে যেন শুনতে হয় মারাত্মক একটি দূর্ঘটনার কথা। আমরা এর প্রতিকার চাই।
উল্লেখ্য এই নদী দিয়ে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, বয়স্ক রোগী, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় নদী পাড় হয়ে। এলাকাবাসীর আবেদন দ্রুত ব্রিজ তৈরি করে স্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হোক।