বরগুনা প্রতিনিধিঃ পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলী উপজেলা ও পৌরসভার ১৩ হাজার ৬৪১টি পরিবার পাচ্ছেন টিসিবির পণ্যসামগ্রী। পণ্য বিতরনে অনিয়ম হলে লাইসেন্স বাতিলসহ ডিলারদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ।
আমতলী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৩১৩টি পরিবার এবং ১টি পৌরসভার ১ হাজার ৩২৮টি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ধাপে ধাপে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে টিসিবির পণ্যের পরিমাণ নির্ধারন করা হয়েছে। যাতে কার্ডধারীরা সঠিক পরিমাপে পণ্য পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিমাপ করে ডিলার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে একজন করে সরকারী ভাবে নিয়োজিত ট্যাগ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই পণ্য বিতরন করা হবে। টিসিবির পণ্য বিক্রিতে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী বাজার ও গোজখালী। আঠাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখারিয়া ও গাজীপুর বন্দর। কুকুয়া ইউনয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও মহিষকাটা বাজার। হলদিয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ। চাওড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও তালুকদার বাজার। আমতলী সদর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও মানিকঝুড়ি বাজার। আড়পাঙ্গআশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার। আমতলী পৌরসভার নুরজাহান ক্লাব ও পৌর ভবনের সামনে টিসিবি পণ্য বিক্রয় করা হবে।
রবিবার(২০ মার্চ) প্রথম দিনে বেলা ১১টায় আমতলী পৌর শহরের নুরজাহান ক্লাবের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. এমএ কাদের মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মাঞ্জুরুল হক কাওসার প্রমুখ।
প্রথম দিনে পৌর শহরের মোট ১ হাজার ৩২৮টি কার্ডধারী পরিবারের মধ্য থেকে ২০০ টি পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৪৬০ টাকার প্যাকেজে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তৈল বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, চাহিদার তুলনায় কম হলেও প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্দোগে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
।