স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, এই মামলার প্রধান আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী দেশে চলমান হরতালের কারণে উপস্থিত থাকতে না পেরে তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার সেই আবেদন গ্রহন না করে খারিজ করে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে আমাদের আপিল মামলাটি যেটি শুনানির জন্য ছিলো সেটিও খারিজ করে দিয়েছেন। আর আমাদের প্রতিপক্ষের দুটি পিটিশন করেছিলেন। একটি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা, আরেকটি সভা, সমাবেশ ও মিছিল মিটিং-এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন। দুটি আবেদনই বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এই খারিজ করার মধ্যে দিয়েই তারা যে দুটি আবেদন করেছিল তা নিষ্ফল প্রমানিত হলো। এই আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর মিছিল মিটিং, সভা সমাবেশ করার যে সাংবিধানিক অধিকার তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, মূলত জামায়েতে ইসলামীর রাজনীতি, জামায়াতে ইসলামীর মিছিল মিটিং করার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইলো না। যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আবেদনটি প্রত্যাক্ষণ করেছেন আদালত। সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই জামায়েত ইসলামী মিটিং মিছিল করতে পারবে। শুধু নিবন্ধনের বিষয়ে যে ডিফল্ডার আদেশটি হলো, এই আদেশের ব্যাপারে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ কি হতে পারে সেটা আমাদের মূল ক্লাইন্ট বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনজীবীগণ পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন না থাকলেও সংবিধান অনুযায়ী জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন প্রয়োজন নির্বাচন করার জন্য রাজনীতি করার জন্য নয়। দেশে অনেক অনিবন্ধিত দল নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে বলেও জানান তিনি। রোববার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত ইসলামীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ।
তবে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিষ্টার তানিয়া আমীর বলেছেন, নিবন্ধন বাতিল রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকলো না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্ম কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না। যদি জামায়াত কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরচিালনা করে তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবদেন নিয়ে আপিল বিভাগে যাবো।